উমার (রাঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহায্য বিতরণ করলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! এদের চেয়ে অন্যদের অগ্রাধিকার রয়েছে, যেমন আহলে সুফফার। (মসজিদে নববীতে আশ্রিত ও সার্বক্ষণিক অবস্থানরত দরিদ্র সাহাবীগণ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা আমাকে মুক্ত হস্তে দান করা ও কার্পণ্য করা এই দুয়ের একটি অবলম্বন করতে বলছ। আমি কার্পণ্য করতে প্রস্তুত নই। [মুসলিম, অত্র গ্রন্থের ২৩৪ নং হাদীস দ্রষ্টব্য]
হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.)-র বরাতে এই হাদিসটির বর্ণনা আছে। তিনি নবী (সা.)-এর কাছে নিচের ঘটনাটি শুনেছেন। একবার মুসা (আ.) বনি ইসরাইলের এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী? তিনি বললেন, আমি। মুসা (আ.)-এর এ উত্তরে আল্লাহ তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট হলেন। কেননা তিনি জ্ঞানের উৎস হিসেবে আল্লাহ্র কথা বলেননি।
আরও পড়ুনইসলামের স্বর্ণযুগের কথা। একবার ইমাম আবু হানিফা (রহ.)–এর সঙ্গে একদল লোকের বিতর্ক ঠিক হলো। তারা ছিল সে সময়ের নাস্তিক, যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করত না। তাদের বলা হতো ‘আদ–দাহরি’। তারা বিশ্বাস করত সবকিছু এসেছে শূন্য থেকে এবং আমাদের চারপাশের প্রকৃতি ও পরিবেশ সবকিছু সৃষ্টির জন্য দায়ী। এক বিতর্কের দিন ইমাম আবু হানিফা (রহ.) সভায় পৌঁছালেন এক ঘণ্টা দেরি করে। তিনি আসার পর আদ–দাহরিরা ক্ষেপে গেল। তারা বলতে লাগল, ‘আপনার দেরিতে আসাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, আপনার এই স্রষ্টার ধারণা কতটা দুর্বল। আপনি আমাদের সঙ্গে কথা বলতেই ভয় পাচ্ছেন।’
আরও পড়ুনইবন ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি। ১. আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. সালাত কায়িম করা। ৩. যাকাত আদায় করা। ৪. হাজ্জ সম্পাদন করা এবং ৫. রমাযানের সিয়ামব্রত পালন করা। (৪৫১৪; মুসলিম ১/৫ হাঃ ১৬, আহমাদ ৬০২২, ৬৩০৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭)
রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, যখন রূহ তাহার শরীর হইতে কবজ করা হয় তখন সে তাহার শরীরকে বলে, আল্লাহ তোমাকে উত্তম পুরস্কার দান করুন। তুমি আমাকে লইয়া আল্লাহর ইবাদত পালনে ব্যস্ত হইতে এবং আল্লাহর নাফরমানী করিতে আমাকে লইয়া বিলম্ব করিতে। তুমিও মুক্তিলাভ করিয়াছ এবং আমাকেও মুক্তিদান করিয়াছ। তখন শরীরও তাহার রূহকে অনুরূপ কথা বলেন।
আরও পড়ুন📖 কুরআনের বাণী: وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّىٰ عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ বাংলা অর্থ: "আর চাঁদের জন্য আমরা নির্ধারণ করেছি বিভিন্ন মনজিল (অবস্থান), যতক্ষণ না তা পুরনো খেজুর ডালের মতো হয়ে যায়।" — (সূরা ইয়াসিন, আয়াত ৩৯)
আরও পড়ুনআব্দুল্লাহ হাকীম তিরমিযী তাহার "নাওয়াদিরুল উসূল' গ্রন্থে উল্লেখ করিয়াছেন, আমার পিতা....আব্দুর রহমান ইবনে সামুরাহ (রা) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের নিকট আগমন করিলেন, আমরা তখন মদীনার মসজিদে বসিয়াছিলাম। তখন তিনি বলিলেন,
আরও পড়ুন আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَّ اسۡتَغۡفِرِ اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا (١٠٦)
আর তুমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (আন-নিসা;১০৬)
ইস্তেগফার এর শাব্দিক অর্থ হলো ক্ষমা প্রার্থনা করা। অর্থাৎ বান্দা যখন গুনাহে লিপ্ত থাকে এবং তারপর সে যখন বুঝতে পারে যে সে অন্যায় করেছে তখন উক্ত গোনার কারণে লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া এবং সেই গুনাহর অভিশাপ থেকে এবং আযাব থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَلَقَدْ جَاءَتْ رُسُلُنَا إِبْرَاهِيمَ بِالْبُشْرَى قَالُوا سَلَمَاء قَالَ سَلَمٌ فَمَا لَبِثَ أَنْ جَاءَ بِعِجْلٍ حَنِينٍ
অর্থ :আমার প্রেরিত ফিরিস্তাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহিমের নিকট আসলো । তারা বললো, সালাম। সেও (ইব্রাহিম আ:) বললো, সালাম। সে অবিলম্বে, এক কাবাব করা গোবৎস আনিল ।(সূরা হূদ - আয়াত ৬৯)
মেহমানদারীর কি উওম উদাহরণ! আল্লাহ তায়ালা তার প্রেরিত নবী রাসূল দ্বারা আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। কোন বিষয়ে আমাদের বেশি জোর দেওয়া উচিত। কোন বিষয় গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
সুদ্দী (র) বলেন: লুত (আ)-এর সম্প্রদায়ের প্রতি আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত
এই ঘটনা সূরা আন্-নামল (সূরা ২৭) এর আয়াত ২০–৪৪ পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে নবী সুলায়মান (আ.) এর প্রজ্ঞা, রাণী বিলকিসের বুদ্ধিমত্তা ও ইসলামে তার ঈমান আনার চিত্র সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
নবী সুলায়মান (আঃ) ছিলেন দাউদ (আঃ)-এর পুত্র এবং তিনি ছিলেন নবী ও বাদশাহ উভয়ই। আল্লাহ তাঁকে অসাধারণ জ্ঞান, ভাষাজ্ঞান এবং পশুপাখি, জিন ও বাতাসের উপর কর্তৃত্ব দান করেছিলেন।
সূরা আন্-নামল (সূরা ২৭)-এ সুলায়মান (আঃ) ও সাবা রাণীর ঘটনার এক বিস্ময়কর চিত্র অঙ্কিত হয়েছে যা বিশ্বাস, নেতৃত্ব, কৌশল, বুদ্ধিমত্তা এবং আল্লাহর একত্ববাদের শিক্ষা দেয়।
ইসলাম একটি সুশৃঙ্খল ও পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা পাঁচটি মূল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। এই ভিত্তিগুলোকে ‘আরকানুল ইসলাম’ বা ইসলামের স্তম্ভ বলা হয়। এগুলো হলো সেই ন্যূনতম কাজ, যা প্রতিটি সক্ষম মুসলিমের জন্য পালন করা ফরজ বা বাধ্যতামূলক। এই স্তম্ভগুলো একজন মুসলিমের ঈমানকে মজবুত করে এবং আল্লাহর সাথে তার সম্পর্ককে গভীর করে তোলে।
আরও পড়ুনহযরত ইউনুস (আঃ) তাঁর সম্প্রদায়কে আল্লাহর পথে ডেকেছিলেন, কিন্তু তারা সাড়া না দেওয়ায় তিনি অধৈর্য হয়ে আল্লাহর অনুমতি ছাড়াই নিজের এলাকা ত্যাগ করেন। এর ফলে তিনি এক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হন—তাকে একটি বিশাল মাছ গিলে ফেলে। মাছের পেটের সেই ঘোর অন্ধকারে, যখন বাঁচার কোনো আশাই ছিল না....
আরও পড়ুনইসলামে "ইহসান" একটি গভীর ও সুন্দর ধারণা, যা প্রায়ই "উৎকর্ষ" বা "আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য" হিসেবে অনুবাদ করা হয়। এটি শুধু ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়....
আরও পড়ুন